আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় ডাকাত আটক

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন পাগলা বাজার হতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১ । গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের সাগরবাড়ি মনু মিয়ার মার্কেট এলাকার মোঃ মোকলেছ মিয়ার ছেলে মোঃ রনি (২২), আড়াইহাজার থানার ঝাউকান্দা এলাকার মোঃ শামছুল হকের ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম @ রফিক (৪০), সোনারগাঁ থানার মন্ডলের গাঁও, বটতলা এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ আল আমিন @ স্বপন (২৮), গোবিন্দগঞ্জের মোঃ শাহীন (২৪), আপেল মন্ডল (২৪), মোঃ সফিক রহমান @ রাসেল । এসময় তাদের নিকট হতে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ১ টি রিভলবার, ২ টি ম্যাগাজিন, ৫ রাউন্ড গুলি, ১ টি চাকু, ০১ টি কাটার, ২ টি শাবল, ১ টি হুইল রেঞ্চ, ১ টি এক্সেল রড, ০১ টি লোহার রড, ০৪ টি গরু, ০৪ টি মোবাইল ফোন , ১ টি ট্রাক, নগদ ১০,০৫০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। এই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলটির স্থায়ী সদস্য ১৫/২০ জন। ধৃত আসামী মোঃ রনি এই ডাকাত দলের মূল হোতা। সে এই ডাকাত দলটিকে নিয়ন্ত্রণ করত। এই অপরাধী চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবত নানাবিধ অপরাধের সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ করে থাকে বলে ধৃত আসামীরা স্বীকার করে। সাম্প্রতিক সময়ে এই চক্রটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন গরম্নর হাটের পাইকার এবং ক্রেতাদের অপহরণ ও অর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে নানাবিধ কৌশল অবলম্বন করে থাকে। প্রথমত তাদের দলের ৪/৫ জন গরুর হাটের মধ্যে অবস্থান করে টার্গেট নির্ধারণ করে এবং মূল দলটি সুবিধাজনক স্থানে অপেক্ষা করতে থাকে। অতঃপর পাইকাররা গরু ক্রয় করে অথবা হাট থেকে বের হয়ে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদের টার্গেট করে পিছনে পিছনে আসতে থাকে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মূল দলকে ডাকাতির টার্গেট বুঝিয়ে দেয়। অতঃপর গরু পাইকার বা ক্রেতাকে পেছন থেকে অথবা কখনও সামনে থেকে এসে সুবিধাজনক স্থানে গতিরোধ করে ভিকটিমের চোখমুখ বেঁধে নির্যাতন করে সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং ভিকটিমকে রাসত্মায় ফেলে চলে যায়। এছাড়াও এই চক্রটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রাইভেটকারে ও মাইক্রোবাসে করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে প্রথমে টার্গেট নির্ধারণ করে যেমন স্বর্নের দোকান, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ধরণের দোকান ইত্যাদি। পরবর্তীতে এই চক্রের ০৮/১০ জন সদস্য নির্ধারিত টার্গেটে এসে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা রাতের বেলায় বর্ণিত স্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ঘুরাঘুরি করে এলাকায় ভীতি প্রদর্শন করে এবং নাইটগার্ডকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তাদের এখানে কাজ আছে বলে তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে ডাকাতি করে।